রবিবার ১৯ মে ২০২৪
Online Edition

ঢাবি-এ রবীন্দ্র-নজরুল উৎসব অনুষ্ঠিত 

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কলা অনুষদের উদ্যোগে গতকাল ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৮ বৃহস্পতিবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রে রবীন্দ্র-নজরুল উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. নাসরীন আহমাদ প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে উৎসবের উদ্বোধন করেন। অনুষ্ঠানে বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ জাতীয় অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামান ও জাতীয় অধ্যাপক ড. রফিকুল ইসলাম যথাক্রমে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের সৃষ্টিবিষয়ক জ্ঞানগর্ভ বক্তব্য রাখেন। এতে সভাপতিত্ব করেন কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আবু মো. দেলোয়ার হোসেন। 

অধ্যাপক ড. রফিকুল ইসলাম বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষ পূর্তি হবে ২০২১ সালে এবং একই সময়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী হবে। দু’টির মধ্যে একটি গভীর সম্পর্ক রয়েছে। তিনি বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সবচেয়ে বড় অবদান হলো স্বাধীন, সার্বভৌম, গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ। 

অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামান তাঁর বক্তৃতায় বলেন, রবীন্দ্রনাথ তার ৭০ বছরের জীবনের ৬০ বছরই সাহিত্য চর্চা করেছেন। তিনি তাঁর সৃষ্টি কর্মের ধারায় যতই বিকশিত হয়েছেন, ততই কিছু কিছু ধারণা পরিত্যাগ করে অন্য ধারণায় গিয়েছেন। রবীন্দ্রনাথের মনের ভেতরে সর্বদাই কাজ করেছে মানব মুক্তি, মানবকল্যাণের ভাবনা। আর তাই রবীন্দ্রনাথের আধ্যাত্মিকতা সত্ত্বেও তাঁকে মানবমুখী ইহজাগতিক বড় স্রষ্টা বলে আমরা জানি। 

 প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. নাসরীন আহমাদ বলেন, রবীন্দ্রনাথ বাংলা সাহিত্যের এক মহামহিম ব্যক্তিত্ব। তিনি ছিলেন সব সময় মানুষ ও মাটির কাছাকাছি। কবি নজরুল প্রসঙ্গে তিনি বলেন, তার কবিতা আমাদের সম্যের বাণী শোনায়, অসাম্প্রদায়িকতার মহান দীক্ষায় দীক্ষিত করে। তিনি সব সময় বাঙালির পাশে ছিলেন, বাংলাদেশের পাশে ছিলেন। বঙ্গবন্ধু জাতীয় দায়িত্ববোধ থেকে স্বাধীন বাংলাদেশে স্থায়ীভাবে নিয়ে আসেন তাকে এবং জাতীয় কবির মর্যাদা দেন। আমাদের এখন নৈতিক দায়িত্ব নজরুলের অসাম্প্রদায়িকতাকে ধারণ করে একটি কল্যাণমূলক সমাজ ও রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা। 

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ